নারীদের সুরক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। শনিবার দেশটির সরকারের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
গৃহসহিংসতা মোকাবিলায় এই চুক্তিটিকে যারা অপরিহার্য বলে মনে করছেন; তারা সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তুর্কি সরকারের এমন ঘোষণার পর নরী নির্যাতন বন্ধ এবং তা থেকে সুরক্ষাসহ সমঅধিকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে কাউন্সিল অব ইউরোপ।
মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের সুরক্ষায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে কাউন্সিল অব ইউরোপ গঠিত হয়েছিল।
২০১১ সালে এই চুক্তি সই হয়েছিল। তবে সম্প্রতি দেশটিতে নারী নির্যাতন ও হত্যা বেড়েই চলছে। শনিবার সকালের দিকে চুক্তি থেকে সরে আসার সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হলেও তাতে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, বাইরে থেকে ঠিক করে দেওয়া শর্তের চেয়ে দেশীয় আইনই নারীদের সুরক্ষায় বেশি কার্যকর হবে।
তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহরে বসে এই চুক্তি সই হলে এরদোগানের দল একে পার্টির মধ্যেও তখন বিভাজন তৈরি হয়েছিল। এমনকি এরদোগানের পরিবার থেকে বিরোধিতা এসেছিল।
গত বছর নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার লাগাম কীভাবে টেনে ধরা যাবে সেই তর্কবিতর্কের মধ্যেই চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল সরকারি কর্মকর্তারা।
চুক্তি থেকে সরে আসার প্রতিবাদে বিক্ষোভ নিয়ে শত শত নারী অধিকারকর্মী রাস্তায় নেমে আসেন।
ইস্তানবুলের খাদিজা ইয়োলকো নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন নারীদের ওপর জঘন্য নিপীড়ন আর হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে আমাদের ঘুম থেকে জাগতে হচ্ছে। এ অপরাধ কখনো শেষ হবে না। নারীদের মরতেই হচ্ছে।
৪৭ জাতির কাউন্সিল অব ইউরোপের মহাসচিব মারিজা পেজসিনোভিস বলেন, তুরস্কের এই সিদ্ধান্ত বিপজ্জনক। এমন উদ্যোগ অনেক বিপত্তি নিয়ে আসবে, যার অধিকাংশই শোচনীয়। কারণ এর মধ্য দিয়ে তুরস্ক নারীদের সুরক্ষার সঙ্গে আপস করতে যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।